প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা থাকা অর্থের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ। দেশটি কিছু তথ্য সরবরাহও করেছে। সর্বশেষ গত জুনে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশের পরও তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ।'
-২০১৪ সাল থেকে দেশটির সঙ্গে চুক্তির জন্য কয়েক দফা চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি। তবে দুটি সংস্থাই 'এগমন্ট গ্রুপে'র সদস্য হিসেবে একে অপরের সঙ্গে নিরাপদ ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করে। এগমন্ট গ্রুপ হলো- বিভিন্ন দেশের এফআইইউর সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক ফোরাম। ২০১৩ সালে এ ফোরামের সদস্য হয় বিএফআইইউ। একসময় সুইজারল্যান্ড কোনো রকম তথ্য প্রকাশ করত না। এখন প্রতিবছর সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাদের দায় ও সম্পদের তথ্য প্রকাশ করছে। জানা গেছে, বিএফআইইউর অনুরোধে বিভিন্ন সময়ে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশের ৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ জমা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। অর্থ পাচারে সন্দেহভাজন এসব তথ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দুদক ও তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে দেওয়া হয়। সংশ্নিষ্টরা জানান, এগমন্ট গ্রুপের চুক্তির আওতায় গড়পড়তা তথ্য আদান-প্রদান হয়। সরাসরি দেশটির বিএফআইইউর সঙ্গে চুক্তি করা সম্ভব হলে বিশদ তথ্য পাওয়া সহজ হতো। বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে এফআইইউ চুক্তি করলেও সুইজারল্যান্ডকে রাজি করাতে পারেনি বাংলাদেশ।
'সর্বশেষ গত ১৫ জুন ২০২১ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি)। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সাল শেষে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের দায় রয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ।
অর্থের বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের কাছে বিভিন্ন সময় তথ্য চেয়েছে সরকার
বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ফ্রাঁ ৯৫ টাকা ধরে) যা দাঁড়ায় ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকায়। দেশটিতে বাংলাদেশের যে অর্থ রয়েছে, তার মধ্যে ৮৪ কোটি ৪৫ লাখ ফ্রাঁ বা ৮ হাজার ২৩ কোটি টাকা এ দেশের ব্যাংকগুলোর। গ্রাহক আমানত রয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ ফ্রাঁ বা ২৫০ কোটি টাকা।'
-গত ১৮ জুন এক সেমিনারে বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন বলেন, সুইস ব্যাংকে জমা অর্থের ৯৭ শতাংশই বিভিন্ন ব্যাংকের। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তির জন্য এটা রাখা হয়। বাকি ৩ শতাংশ ব্যক্তিগত আমানত। ফলে কেউ সন্দেহ করলে এই ৩ শতাংশ অর্থ নিয়ে করতে হবে। তবে এই অর্থ বাংলাদেশিদের হলেও পুরোটাই যে বাংলাদেশ থেকে গেছে, তেমন নয়। তিনি জানান, বাংলাদেশের আইনে অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে টাকা নিলেই তা অপরাধ। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে অপরাধমূলকভাবে অর্জিত এবং কর ফাঁকির মাধ্যমে নেওয়া অর্থকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।